Friday, March 21, 2014

চুল পড়ার কারণঃ


▬▬▬▬▬*বংশগত প্রবণতা - পারিবারিক ইতিহাস চুল পড়ার
ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
*অটোইমিউন রোগ - SLE, Vitiligo বা স্বেত রোগ ইত্যাদির মত
কিছু অটোইমিউন রোগের সঙ্গে চুল পড়ার সম্পর্ক আছে।
*হরমোন জনিত রোগ - এছাড়াও হরমোনের
ব্যাঘাতে হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম মত
রোগে এ অবস্থা হতে পারে।
*চর্ম রোগ - সোরিয়াসিস, একজিমা চর্ম প্রদাহের
কারনে সাধারণভাবে চুল পড়তে পারে।
*উচ্চশক্তিসম্পন্ন বা তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে রোগের
চিকিত্সা অথবা কেমোথেরাপি - ক্যান্সারের মত নির্দিষ্ট কিছু
রোগে গুরুতর চুলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
*পুষ্টির অভাব - পুষ্টির ঘাটতি যেমন লৌহ, ভিটামিন, দস্তার
অভাবে চুল পড়ে।
*অত্যধিক আঁচড়ানো - এ কারনেও মাথা থেকে চুল
পড়ে যেতে পারে।
*পোড়া - পোড়া চামড়ার যে কোন স্থানে চুলের ক্ষতি হয়।
*রজঃনিবৃতি কাল - রজঃনিবৃতি কালে মহিলাদের চুল পড়া খুবই
সাধারণ ব্যপার।
*অন্যান্য কারণ - প্রধানত উচ্চ জ্বর, বড় সার্জারি,
রক্তক্ষরণ, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ গ্রহণ, অনাহার, রাসায়নিক
পদার্থ, মূত্রাশয় কর্মহীনতা ইত্যাদি কারণে চুল
পড়ে যেতে পারে।
প্রতিকার:
▬▬▬▬▬▬নিম্ন লিখিত খাবারগুলো নিয়মিত খেলে চুল
পড়া কমতে পারে-
*গাঢ় সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে যাতে রয়েছে ভিটামিন-এ,
ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই আছে যা natural conditionar
হিসেবে কাজ করবে ।
*শিমের বিচি, মটর শুটি, বরবটি ইত্যাদ যা প্রোটিনের
ভালো উৎস। এছাড়াও আয়রণ, জিঙ্ক ও বায়োটিন আছে যা চুল
ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
*কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোটও natural conditionar এর
কাজ করে।
*খাবার তালিকায় প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন যেমন-মুরগী, ডিম
রাখতে হবে।
*লাল চাল,লাল আটা খেতে হবে যাতে জিঙ্ক, আয়রণ ও
ভিটামিন-বি পাওয়া যায়।
*কম চর্বি যুক্ত দুধে ক্যালসিয়াম আছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য
অত্যাবশকীয় উপাদান।
*গাজর ভিটামিন-এ এর ভাল উৎস যা প্রতিদিন সালাদ
হিসেবে খাওয়া যায়।
*তিসি চুলের জন্য ভীষণ উপকারী।
*সূর্যমূখীর বীচি চুলকে মজবুত ও ঝলমলে করতে দারুন
ভাবে কাজ করে।

Friday, March 7, 2014

কিডনি নষ্টের ১০ টি অনিয়মঃ–

☞১) প্রস্রাব আটকে রাখা।
☞২) পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
☞৩) অতিরিক্ত লবন খাওয়া।
☞৪) যেকোন সংক্রমনের দ্রুত
চিকিৎসা না করা।
☞৫) মাংস বেশি খাওয়া।
☞৬) প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া। ☞৭) অপরিমিত
ব্যথার ওষুধ সেবন। ☞৮) ওষুধে সেবনে অনিয়ম।
☞৯) অতিরিক্ত মদ খাওয়া।
☞১০) পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া। স্বাস্থ্য
সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখুন।

চুল কমে যাওয়া বা পরে যাওয়াঃ

চুল কমে যাওয়া বা পরে যাওয়া আমাদের জীবনে এক
জটিল সমস্যা।যা অন্যান্য সব সৌন্দর্য
টাকে মাটি করে দেয়। আসুন জেনে নি কিছু টিপস
যা দ্বারা আপনি চুল পরা রোধ পারেন।

*এক চামচ কেস্টার ওয়েলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল
তেল মিশিয়ে রাতে মাথায় লাগান৷ পরের দিন
সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন৷ এরকম কিছুদিন লাগালেই চুল
পড়া বন্ধ হয়ে যাবে৷

*অধিক হারে চুল পড়ে যাবার সমস্যা কাটাতে নিম
পাতা ও মেথী ভালমতো সিদ্ধ করে সেই রস চুলে লাগান।
১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে গোসল করে নিন। আশাকরি সুফল
পাবেন।

*নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল হালকা গরম
করে তারসঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এরপর
চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন।ঘণ্টা দুয়েক পর শ্যাম্পু
করে ফেলবেন। চুল পড়া কমবে।

কাশি:

হঠাৎ তীব্র কাশি বা দীর্ঘমেয়াদি কাশি- উভয়ই
অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সারের
মতো বিপজ্জনক রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। লিখেছেন
বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকার
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস
শাকুর খান

কাশি কী?

ফুসফুসে যে পথে বাতাস প্রবেশ করে তার ওপরের দিকের
নালিতে কোনো কিছু আটকে গেলে বা জমা হলে তা বের
করার স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াই কাশি। কোনো কিছু
জমলে বা আটকে গেলে বাতাস চলাচলের ওই নালির
গাত্রের কোষে প্রদাহ হয় এবং ফুসফুস থেকে হঠাৎ
জোরে বাতাস বের হয়ে ওই স্থানকে পরিষ্কার করতে চায়।
এই কাশি যেমন ইচ্ছা করে গলা পরিষ্কারের জন্য
দেওয়া হয়, আবার ফুসফুসের কিছু
অসুখে তা অনিয়ন্ত্রিতভাবেও হতে পারে।
কাশি কখনো ঘুষঘুষে বা শুকনো হয়, কখনো কাশির সঙ্গে কফ
বের হয়। কাশি হতে পারে ইনফেকশন থেকে। যেমন-
সাইনুসাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হুপিং কফ,
যক্ষ্মা ইত্যাদি। কাশি কিন্তু ইনফেকশন ছাড়াও
হতে পারে। যেমন- এমফাইসিমা, অ্যাজমা ও
অ্যালার্জিজনিত কাশি।
যেসব অসুখে কাশি হতে পারে
কাশি মূলত শ্বাসযন্ত্রের অসুখ। তাই শ্বাসতন্ত্রের
অসুখ, যেমন- শ্বাসনালির প্রদাহ,
অ্যাজমা বা হাঁপানি, সিওপিডি, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা,
ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদিতে উপসর্গ
হিসেবে কাশি থাকে। ভাইরাসজনিত সাধারণ অসুখেও
কাশি হতে পারে ।
আবার সাইনাস ইনফেকশন, কানের অসুখ, গলার
ইনফেকশন থেকেও কাশি হতে পারে।
কাশির উপসর্গ
ইনফেকশন থেকে কাশি হলে সাধারণত জ্বর, শরীর ব্যথা,
গলাব্যথা, বমি ও বমিবমি ভাব, মাথাব্যথা, অনবরত
সর্দি, ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাওয়া, কাশির
সঙ্গে বেশি পরিমাণে কফ যাওয়া ইত্যাদি থাকে।
ইনফেকশন ছাড়া কাশিতে শাঁ শাঁ শব্দ হওয়া, কোনো বিশেষ
বস্তুর সংস্পর্শে গেলে কাশি হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ
থাকতে পারে।

কাশি কত দিন ধরে হলে বিপজ্জনক রোগের লক্ষণ হিসেবে গণ্য
হতে পারে?

কাশি হতে পারে অ্যাকিউট বা আকস্মিক, ক্রনিক
বা দীর্ঘমেয়াদি। তিন সপ্তাহ বা তার অধিককাল
কাশি হলে কাশিকে বিশেষ গুরুত্ব
দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা,
নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম উপসর্গ
হলো দীর্ঘমেয়াদি কাশি। অর্থাৎ
দীর্ঘমেয়াদি কাশি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রেখে রোগ
নির্ণয়ে সচেষ্ট হতে হয়।
আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের কোনো অসুখ
আছে তাদের ক্ষেত্রে কাশি হলে তিন সপ্তাহ
দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যাদের ধূমপান করার অভ্যাস আছে বা যাঁরা ধুলাযুক্ত
পরিবেশে বসবাস বা কাজ করেন তাঁদের
কাশি হলে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং গুরুত্ব
দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। কিছু কিছু ওষুধের প্রভাবেও
কাশি হতে পারে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য
যাঁরা এসিই ইনহিবিটর গ্রুপের ওষুধ খান তাঁদের
কাশি হলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ
করে ওষুধ পরিবর্তন করে নিতে হতে পারে।

কী লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন?

* দীর্ঘমেয়াদি কাশি
* কাশির সঙ্গে জ্বর ও বুকে ব্যথা
* শ্বাসকষ্ট
* কাশির সঙ্গে রক্ত বা বেশি বেশি ঘন কফ
* শরীরের ওজন কমে গেলে
* কাশির ওষুধ সেবন সত্ত্বেও কাশি না সারলে
* ঘুমের মধ্যে কাশি হলে।
যদি কাশি থাকে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়, বুকে তীব্র
ব্যথা হয়,
তবে দেরি না করে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে।
কাশির চিকিৎসা
* সাধারণ এবং স্বল্পমেয়াদি কাশির জন্য
কাশি উপশমকারী কিছু সাধারণ ব্যবস্থা বা সাধারণ
কাশির ওষুধই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে কফের সিরাপ, গরম পানির
বাষ্প গ্রহণ, মধুমিশ্রিত হালকা গরম পানি পান উপকার
করে।
* কিন্তু কাশি যদি বিশেষ কোনো রোগের লক্ষণ
হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে ওই রোগের জন্য নির্ধারিত
চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন
হয়ে থাকে।
কাশিমুক্ত থাকার উপায়
কাশিমুক্ত থাকা আসলেই খুব কঠিন। তবে সাধারণ সর্দি-
কাশি অথবা অ্যাজমাসহ কিছু রোগে সাধারণ কিছু
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বাসস্থান ও
কর্মস্থলের পরিবেশের উন্নয়ন এবং পুষ্টিকর
খাওয়াদাওয়া করলে কাশি থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ কিছু রোগের ক্ষেত্রে বার্ষিক ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়েও
ঝুঁকি কিছুটা এড়ানো সম্ভব।
কফ পরীক্ষা
কফ পরীক্ষা করে বহু সময় কাশির কারণ নির্ণয় করা হয়,
তবে কাশিসংক্রান্ত রোগ নির্ণয়ে রোগীর প্রদত্ত তথ্য খুব
গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- কাশি থাকলে ডাক্তারকে পরিষ্কার
করে নিচের প্রশ্নের উত্তরগুলো জানান।

* কফের সঙ্গে রক্ত যায় কি না? যদি যায়,
তবে তা কী পরিমাণে যায়?

* কাশির সঙ্গে কফ যায়? যদি যায় তবে তা কী ঘন
না পাতলা? বর্ণহীন, না কালো বা হলদেটে?
* কী পরিমাণে কফ বের হয়?

* কাশি কি হঠাৎ করে শুরু হয়, নাকি রাতে বেশি হয়?কাশির কারণে ঘুম ভেঙে যায় কি না?

* কত দিন ধরে কাশি হচ্ছে? শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাশির প্রকোপ একই মাত্রায় আছে, না দিন দিন বাড়ছে?

* পাশ ফিরে শুইলে কি কাশির প্রকোপ বাড়ে?

* কাশির কারণে কি বমি হয়?

* কাশির কারণে কি দম বন্ধ অনুভূতি হয়?
চিকিৎসক বাড়তি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও
করাতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আছে ব্রঙ্কোস্কোপি, বুকের
এক্স-রে, বুকের সিটিস্ক্যান, লাং স্ক্যান,
পালমোনারি ফাংশন টেস্ট (অক্সিমেট্রিসহ), কফ
অ্যানালাইসিস।

কাশি:

হঠাৎ তীব্র কাশি বা দীর্ঘমেয়াদি কাশি- উভয়ই
অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সারের
মতো বিপজ্জনক রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। লিখেছেন
বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকার
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস
শাকুর খান

কাশি কী?

ফুসফুসে যে পথে বাতাস প্রবেশ করে তার ওপরের দিকের
নালিতে কোনো কিছু আটকে গেলে বা জমা হলে তা বের
করার স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াই কাশি। কোনো কিছু
জমলে বা আটকে গেলে বাতাস চলাচলের ওই নালির
গাত্রের কোষে প্রদাহ হয় এবং ফুসফুস থেকে হঠাৎ
জোরে বাতাস বের হয়ে ওই স্থানকে পরিষ্কার করতে চায়।
এই কাশি যেমন ইচ্ছা করে গলা পরিষ্কারের জন্য
দেওয়া হয়, আবার ফুসফুসের কিছু
অসুখে তা অনিয়ন্ত্রিতভাবেও হতে পারে।
কাশি কখনো ঘুষঘুষে বা শুকনো হয়, কখনো কাশির সঙ্গে কফ
বের হয়। কাশি হতে পারে ইনফেকশন থেকে। যেমন-
সাইনুসাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হুপিং কফ,
যক্ষ্মা ইত্যাদি। কাশি কিন্তু ইনফেকশন ছাড়াও
হতে পারে। যেমন- এমফাইসিমা, অ্যাজমা ও
অ্যালার্জিজনিত কাশি।
যেসব অসুখে কাশি হতে পারে
কাশি মূলত শ্বাসযন্ত্রের অসুখ। তাই শ্বাসতন্ত্রের
অসুখ, যেমন- শ্বাসনালির প্রদাহ,
অ্যাজমা বা হাঁপানি, সিওপিডি, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা,
ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদিতে উপসর্গ
হিসেবে কাশি থাকে। ভাইরাসজনিত সাধারণ অসুখেও
কাশি হতে পারে ।
আবার সাইনাস ইনফেকশন, কানের অসুখ, গলার
ইনফেকশন থেকেও কাশি হতে পারে।
কাশির উপসর্গ
ইনফেকশন থেকে কাশি হলে সাধারণত জ্বর, শরীর ব্যথা,
গলাব্যথা, বমি ও বমিবমি ভাব, মাথাব্যথা, অনবরত
সর্দি, ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাওয়া, কাশির
সঙ্গে বেশি পরিমাণে কফ যাওয়া ইত্যাদি থাকে।
ইনফেকশন ছাড়া কাশিতে শাঁ শাঁ শব্দ হওয়া, কোনো বিশেষ
বস্তুর সংস্পর্শে গেলে কাশি হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ
থাকতে পারে।

কাশি কত দিন ধরে হলে বিপজ্জনক রোগের লক্ষণ হিসেবে গণ্য
হতে পারে?

কাশি হতে পারে অ্যাকিউট বা আকস্মিক, ক্রনিক
বা দীর্ঘমেয়াদি। তিন সপ্তাহ বা তার অধিককাল
কাশি হলে কাশিকে বিশেষ গুরুত্ব
দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা,
নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম উপসর্গ
হলো দীর্ঘমেয়াদি কাশি। অর্থাৎ
দীর্ঘমেয়াদি কাশি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রেখে রোগ
নির্ণয়ে সচেষ্ট হতে হয়।
আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের কোনো অসুখ
আছে তাদের ক্ষেত্রে কাশি হলে তিন সপ্তাহ
দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যাদের ধূমপান করার অভ্যাস আছে বা যাঁরা ধুলাযুক্ত
পরিবেশে বসবাস বা কাজ করেন তাঁদের
কাশি হলে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং গুরুত্ব
দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। কিছু কিছু ওষুধের প্রভাবেও
কাশি হতে পারে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য
যাঁরা এসিই ইনহিবিটর গ্রুপের ওষুধ খান তাঁদের
কাশি হলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ
করে ওষুধ পরিবর্তন করে নিতে হতে পারে।

কী লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন?

* দীর্ঘমেয়াদি কাশি
* কাশির সঙ্গে জ্বর ও বুকে ব্যথা
* শ্বাসকষ্ট
* কাশির সঙ্গে রক্ত বা বেশি বেশি ঘন কফ
* শরীরের ওজন কমে গেলে
* কাশির ওষুধ সেবন সত্ত্বেও কাশি না সারলে
* ঘুমের মধ্যে কাশি হলে।
যদি কাশি থাকে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়, বুকে তীব্র
ব্যথা হয়,
তবে দেরি না করে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে।
কাশির চিকিৎসা
* সাধারণ এবং স্বল্পমেয়াদি কাশির জন্য
কাশি উপশমকারী কিছু সাধারণ ব্যবস্থা বা সাধারণ
কাশির ওষুধই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে কফের সিরাপ, গরম পানির
বাষ্প গ্রহণ, মধুমিশ্রিত হালকা গরম পানি পান উপকার
করে।
* কিন্তু কাশি যদি বিশেষ কোনো রোগের লক্ষণ
হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে ওই রোগের জন্য নির্ধারিত
চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন
হয়ে থাকে।
কাশিমুক্ত থাকার উপায়
কাশিমুক্ত থাকা আসলেই খুব কঠিন। তবে সাধারণ সর্দি-
কাশি অথবা অ্যাজমাসহ কিছু রোগে সাধারণ কিছু
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বাসস্থান ও
কর্মস্থলের পরিবেশের উন্নয়ন এবং পুষ্টিকর
খাওয়াদাওয়া করলে কাশি থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ কিছু রোগের ক্ষেত্রে বার্ষিক ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়েও
ঝুঁকি কিছুটা এড়ানো সম্ভব।
কফ পরীক্ষা
কফ পরীক্ষা করে বহু সময় কাশির কারণ নির্ণয় করা হয়,
তবে কাশিসংক্রান্ত রোগ নির্ণয়ে রোগীর প্রদত্ত তথ্য খুব
গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- কাশি থাকলে ডাক্তারকে পরিষ্কার
করে নিচের প্রশ্নের উত্তরগুলো জানান।

* কফের সঙ্গে রক্ত যায় কি না? যদি যায়,
তবে তা কী পরিমাণে যায়?

* কাশির সঙ্গে কফ যায়? যদি যায় তবে তা কী ঘন
না পাতলা? বর্ণহীন, না কালো বা হলদেটে?
* কী পরিমাণে কফ বের হয়?

* কাশি কি হঠাৎ করে শুরু হয়, নাকি রাতে বেশি হয়?কাশির কারণে ঘুম ভেঙে যায় কি না?

* কত দিন ধরে কাশি হচ্ছে? শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাশির প্রকোপ একই মাত্রায় আছে, না দিন দিন বাড়ছে?

* পাশ ফিরে শুইলে কি কাশির প্রকোপ বাড়ে?

* কাশির কারণে কি বমি হয়?

* কাশির কারণে কি দম বন্ধ অনুভূতি হয়?
চিকিৎসক বাড়তি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও
করাতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আছে ব্রঙ্কোস্কোপি, বুকের
এক্স-রে, বুকের সিটিস্ক্যান, লাং স্ক্যান,
পালমোনারি ফাংশন টেস্ট (অক্সিমেট্রিসহ), কফ
অ্যানালাইসিস।

পেটের চর্বি থেকে মুক্তিঃ

পেটের চর্বি থেকে মুক্তিঃ

১. এক গ্লাস হালকা গরম
পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত
তৈরি করে প্রতিদিন
সকালে খাবেন।
২.সকালে দুই বা তিন
কোয়া কাঁচা রসুন খেতে হবে। লেবুর
শরবত পান করার পরই
এটি খেয়ে নিলে ভালো ফল
পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিটি আপনার
শরীরের ওজন কমানোর
প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ গতিতে করবে।
একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত
সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
৩. সকালের নাশতায় অন্য খাবারের
পরিমাণটা কমিয়ে সেখানে স্থান
করে দিতে হবে ফলের। প্রতিদিন
সকালে এক বাটি ফল
খেলে পেটে চর্বি জমার হাত
থেকে অনেকটা রেহাই
পাওয়া যাবে।
৪. পেটের
চর্বি থেকে মুক্তি পেতে হলে পান
সঙ্গে করতে হবে বন্ধুত্ব।
কেননা পানি আপনার শরীরের
পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়
এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর সব কিছু
বের করে দিতে সাহায্য করে।
৫. সাদা চালের ভাত
থেকে দূরে থাকুন। এর
পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার
খেতে হবে।
৬. দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ
দিয়ে রান্না করুন আপনার খাবার।
এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার
মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে
৭. চিনিজাতীয় খাবার শরীরের
বিভিন্ন
অংশে চর্বি ভূমিকা রাখে, বিশেষ
করে পেট ও ঊরুতে। পেটের
চর্বি থেকে রেহাই
পেতে হলে চিনি এবং চিনিজাতী
খাবারের
সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যে ৫টি খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত

অনেককেই বলতে শোনা যায় প্রেসার বেড়ে গেছে। এই
প্রেসার বেড়ে যাওয়াটাই হলো উচ্চ রক্তচাপ। মানুষের
স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার
প্রবণতাটাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ
বংশগত কারণে হতে পারে৷ বাবা মায়ের
থাকলে সন্তানেরও বয়সের সাথে সাথে রক্তচাপের
সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও
মানসিক চাপ, দুশিন্তা, বিষন্নতয়া, ব্যায়াম-হাঁটা-চ
লাফেরা না করা, নিয়মিত মদ্যপান, খাওয়ার পাতে বড়
বেশি নুন খাওয়া, লাল মাংস বেশি খাওয়ার কারণেও
উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় কিছু
খাবার এড়িয়ে চলা গেলে রক্তচাপ
কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমন ৫ টি খাবারের
তালিকা যেগুলো উচ্চ রক্তচাপে এড়িয়ে চলা উচিত। লবণ,
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় প্রথমেই
যে খাবারটি খেতে মানা করা হয় তা হলো লবণ। যাদের
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য লবণ খুবই
ক্ষতিকর। খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা,
উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয় শরীরে।
এছাড়াও আরেকটি গবেষণায়
দেখা গেছে যে খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলে পাকস্থলী ও
মুত্রথলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। কফি, যারা নিয়মিত
কফি খান তাদের জন্য দুঃসংবাদ হলো কফি খেলে সাময়িক
সময়ের জন্য রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই যাদের
উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য
কফি খাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ হঠাৎ
করে বেড়ে যাওয়া রক্তচাপের ফলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। গবেষকদের মতে ক্যাফেইন
রক্তনালীকে সরু করে দেয়। এছাড়াও ক্যাফেইন প্রচুর
কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ করে রক্তচাপ
বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কফি ও অতিরিক্ত
চা পানের অভ্যাসটা বাদ দিয়ে সবুজ চা খান। চিনি,
জরিপে দেখা গেছে যে আমেরিকানরা বছরে প্রায় ২৪০
পাউন্ড চিনি খায়। নিয়মিত যা চিনি বা মিষ্টি জাতীয়
খাবার খাওয়া হয় তার বেশিরভাগই
শরীরে চর্বি হিসেবে জমে। ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়
এবং হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত
খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। বিশেষ
করে যারা স্থুলকায় তাদের প্রেসার বাড়ার ঝুঁকি বেশি।
মিষ্টি কিছু যদি খেতে ইচ্ছেই করে তাহলে চিনির বদলে মধু
খেতে পারেন। অ্যালকোহল ও কোমল পানীয়, বেশ কিছু
গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত মদ্যপান
করলে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায় যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
তাছাড়া এটাও মনে রাখা উচিত যে অ্যালকোহল ও
কোমল পানীয়গুলোতে প্রচুর ক্যালোরি আছে যা ওজন
বৃদ্ধি করে। তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় কিংবা কোমল
পানীয় না খেয়ে তাজা ফলের রস কিংবা লেবুর শরবত
খান। আচার, যে কোনো খাবার সংরক্ষণ করতেই প্রয়োজন
প্রচুর লবণের। আর আমাদের দেশে যে ধরণের আচার
খাওয়া হয় সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লবণ ব্যবহৃত হয়। তাই
খেতে যতই ভালো লাগুক আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের
সমস্যা থাকে তাহলে আচার খাওয়া এড়িয়ে চলাই
ভালো।